অনুপ্রাণিত জীবন
মাঝে মাঝে নিজের কথা ভেবে হতাশ হই। হতাশ হই কারণ জগত সংসারের জন্য কোন অবদান রেখে যেতে পারলাম না। আমাকে মনে রাখার মত কোন স্মৃতিও নাই। ‘পারলাম না বলছি’ শুনতে মনে হয় যেন আর সময় নাই। আসলেও নাই। সেই কবে পঞ্চাশ পেরিয়েছে। তারপরের সময়টা মনে হয় যেন ওভারটাইমে আছি। এখন চাইলেও কিইবা আর করার থাকতে পারে।
তবে এটা সত্যি যে, এমন মিনিংলেস লাইফ উইদাউট লিস্ট কন্ট্রিবিউশন ইজ সিমপ্লি এ হিউজ বার্ডেন টু দি সোসাইটি।
হ্যাঁ, কিছু না করতে পারার সহজ উছিলা দিয়ে দিতে পারি। আর সেটা হল বিবাহিত জীবন। আমাদের সংস্কৃতিতে বিয়ে করে আমরা সংকীর্ণ হয়ে যাই। জগত সংসারে আর কারো দিকে তাকাই না। সংসারই নিজের একমাত্র জগত হয়ে দাঁড়ায়।
অথর্ব, অর্থহীন জীবনে নিজে কিছু করতে না পারলেও যারা পারে, পেরেছে এমন মানুষের গল্প পড়ি। পড়ে অনুপ্রাণিত হই। শেয়ার করতে ভাল লাগে এমন কারো ঘটনা।
তাইলে একজনের গল্প বলি শুনেন।
ম্যারী লেইথাম পেশাদার ফটোগ্রাফার। পয়সার বিনিময়ে বিয়ে শাদীর অনুষ্ঠানের ছবি তোলে। মায়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ম্যারী ২০১৩ সালে ক্যান্সার রোগে তার মাকে হারায়। মা হারানোর শোক তাকে দীর্ঘদিন তাড়িয়ে বেড়ায়। ভেবে কূল পায় না আর কতকাল মায়ের শোক তাকে যন্ত্রণা দেবে !
সব সময় মায়ের বলা কথাগুলি তার কানে বাজে। মনে হয় যেন এখনো পাশে বসে কথা বলে।
২০১২ সালে কানেক্টিকাটের স্যান্ডিহুকের এক স্কুলে গোলাগুলিতে অনেক ছাত্র মারা যায়। মনে পড়ে তখন মা বলেছিল – ম্যারী, এই দুঃখজনক ঘটনাটা আমাকে যন্ত্রণা দেয়। মনে রেখো, এমন খারাপ ঘটনা আরও ঘটবে। আরও দেখবে। তবে জেনে রাখো, পাশাপাশি অনেক ভাল ঘটনাও ঘটবে দুনিয়া। তোমাকে শুধু সেই ভালগুলি খুঁজে নিতে হবে। ভাল সব কিছুর ভিতর তুমি তোমার মাকে খুঁজে পাবে।
তার মায়ের কথার মর্মার্থ বুঝতে ম্যারীর তিন বছর লেগে গেল। মায়ের সন্মানে তার কথানুযায়ী ম্যারির মাথায় একটা প্ল্যান এলো। একদিন সে একটা স্যুটকেইসে কয়েক সেট কাপড় গুছিয়ে নিয়ে মায়ের নীল সুবারু আউটব্যাক গাড়ীটা নিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো ভাল কিছু দেখার সন্ধানে।
ম্যারী তার এই পথযাত্রার নাম দিল ‘ভাল কিছু’। পথচলার মাঝে যা কিছু ঘটছিল সব কিছু সে তার ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করতে লাগল এই ভাবনায় একদিন হয়ত এসব লেখা নিয়ে সে একটা বই ছাপাবে। তারপর সেই বইগুলি সে দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তের সব হাসপাতালগুলির ওয়েটিং রুমে দেবে যেন রোগীর সাথে আসা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষেরা তার লেখা পড়ে মানসিক শান্তি পায়। অনুপ্রাণিত হয়।
২০১৬ সালের ২৯শে অক্টোবর মায়ের নীল গাড়ীতে চড়ে ম্যারী লং আইল্যান্ডের বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে তার মিশনে। সাথে নিলো কয়েকটা ‘ভাল কিছু’ এই স্লোগান ছাপানো টিশার্ট। চলার পথে কারো সাথে সখ্যতা হলে যেন তাদেরকে স্মৃতি স্বরূপ কিছু দিতে পারে এই আশায়। এছাড়াও সাথে নিলো নিজের ক্যামেরা, কয়েকটা নোটবুক, পানির বোতল, শুকনা খাবার, কম্বল, মোমবাতি, আর একটা টর্চলাইট। এত কিছু নিয়ে রওনা দিল যেন সে কোন বিশাল প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে যাচ্ছে।
যাত্রা শুরুর পর তিন বছর পেরিয়ে গেছে।
তিন বছর পরেও ম্যারী এখনো তার পথচলার মিশনে আছে। শুধু মাঝে মাঝে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্লেন ধরে নিজের লং আইল্যান্ডের বাসায় আসে যদি কোন বিয়ে শাদীর ছবি তোলার এপয়েন্টমেন্ট থাকে। আর নয়তো টাকা পয়সা, এবং দরকারী সাপ্লাই নেয়ার জন্য আসে। পঞ্চাশ রাজ্যের বিশাল আমেরিকার আলাস্কা এবং হাওয়াইসহ আর মাত্র সাতটা রাজ্যে তার যাওয়া বাকি আছে। এই দুই রাজ্যে যেতে পানি পেরুতে হয়। তাই প্ল্যান করেছে সে তার নিজের গাড়িটা না নিয়ে সেখানে গিয়ে একটা একই রকম গাড়ি ভাড়া করে নেবে।
সে বলে – মা বেঁচে থাকলে জেনে অবাক হত, আমি তার গাড়ির মাইল মিটারে গত তিন বছর আমেরিকার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে চালিয়ে ৩৮ হাজার মাইল যোগ করে ফেলেছি।
তার দীর্ঘ পথ যাত্রায় সে ১৪০টা ফ্যামিলির সাথে তাদের বাসায় থেকেছে অতিথি হিসাবে। যে সব মানুষেরা ফেইসবুকে তার ভ্রমণ কাহিনী পড়ছে, তাদের অনেকে তাকে দাওয়াত দিয়েছে পথে পড়লে তাদের বাসায় থাকতে। তারা তাকে অনেক উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনার মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তাদের ইন্টার্ভিউ পেতে সাহায্য করেছে।
সে বলে – গাড়িতে লম্বা সময় একা কাটাই। তাই একাকীত্ব পেয়ে বসে। সেটা কাটাতে আমি মানুষের দাওয়াত নেই। তাদের বাসায় রান্না করা খাবার খাই। তাদের জীবনের সুন্দর সব গল্প শুনে আমার একাকীত্ব, পথ চলার ক্লান্তি দুর হয়। এত লম্বা পথ যাত্রায় এখন পর্যন্ত তার একটা খারাপ অভিজ্ঞতা হয় নাই।
প্রতিটা শহরে ম্যারী অনেক ভাল কিছু অভিজ্ঞতা, ভাল গল্প শুনেছে। সংগ্রহ করেছে।
রোড আইল্যান্ডে বেড়াতে গেলে এক ব্যাংকের টেলার তাকে বলে – কাজে এসে একদিন কোন কারণ ছাড়া তার খুব মন খারাপ লাগছিলো। তার বিমর্ষ চেহারা দেখে এক কাস্টমার জিজ্ঞেস করে সব কিছু ঠিক আছে কিনা, কোন সমস্যা কিনা !
তখন ব্যাংক টেলার উত্তর দিয়েছিলো – কাজের পর একটা এম এন্ড এম ক্যান্ডি খেলে তার মন ভাল হয়ে যাবে।
একটু পর সেই কাস্টমার এক ব্যাগ এম এন্ড এম ক্যান্ডি কিনে এনে টেলারকে দিয়ে যায়। সেই মুহূর্তে সেই উপহার তার কাছে অসাধারণ লেগেছে। মন ভাল হয়ে যায় মুহূর্তে।
ইন্ডিয়ানায় এক মহিলার শৈশব কেটেছে খুব করুণভাবে ( আমার মত মনে হয় )। এখন সেই মহিলা এক ডজন অনাথ এবং বিকলাঙ্গ শিশুর দায়িত্ব নিয়ে তাদের দেখাশোনা করে। হয়ত এদের সেবা করার ভিতর তার শৈশবের অতৃপ্তি কেটে যাবে।
ম্যারীর সবচেয়ে মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা হয়েছে মেইনের কেইপ এলিজাবেথে বেড়াতে গেলে। সেবার সে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের ভিতর পড়েছিল। তবুও মেইনের অভিজ্ঞতা তার কাছে সেরা মনে হয়েছে। সেখানে সে একটা ১০০ বছরের পুরনো খামার বাড়িতে থেকেছিল। খামারের মালিক ভদ্রমহিলার সাথে তার ফেইসবুকে পরিচয় হয়েছে। তার ছবি দেখে ম্যারী ধরে নিয়েছে – এই মহিলা হয় দুনিয়ার সবচে ভাল মানুষ আর নয়ত একজন সিরিয়াল কিলার ধরনের কেউ হবে। ছবিটায় মহিলার একটা সাইকেলে চড়ার দৃশ্য ছিল যার সামনের ঝুড়িতে একটা বিড়াল বসে আছে।
মহিলার খামারবাড়িতে সামনের দরজায় পৌঁছে যখন সে ফ্রেশ ব্লুবেরি মাফিনের গন্ধ পেলো নাকে, তার মন থেকে ভয়ের মেঘ কেটে গিয়ে খুশীর রোদ ঝিলিক মারল। দরজা ঠেলে ঘরে পা রাখতেই ঘরের ভিতর জ্বলতে থাকা কয়লার আগুনের উষ্ণতা এসে গা ছুঁয়ে গেল। ছোট্ট বিড়ালটা দৌড়ে এসে পায়ের সাথে নাক ঘষল। সে বলে – আর সেই হোস্ট মহিলা আমাকে দেখে এমনভাবে আলিঙ্গন করলো জেন তারসাথে আজই আমার প্রথম মোলাকাত হয় নাই – আমরা যেন যুগ যুগ ধরে বন্ধু।
ইন্ডিয়ানায় একবার তার গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গেলে এক ফ্যামিলি তার চাকা মেরামত করে তাদের বাসায় ম্যারীকে তিন রাতের জন্য থাকতে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ফিরে যাওয়ার দিন সে দেখে তার ব্যাগপ্যাকের ভিতর তারা একটা বিশ ডলারের নোট ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভেবেছে, পথেঘাটে যদি বিপদে পড়ে, এই টাকায় কিছুটা হলেও উপকার হবে।
বিভিন্ন রাজ্যে এমন হোস্টদের অনেকে এখন তার ভাল বন্ধু হয়ে গেছে যেমন মিশিগানের টিচার ওয়াল্টার, আভা বাতজু। তারা এমন তিনজন মানুষের সাথে ম্যারীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এবং ইন্টার্ভিউ নিতে সহায়তা করেছে যাদের একজন ফ্রেঞ্চহলোকাস্ট সারভাইভর, একজন কলেজ গ্রাজ্যুয়েট যে দারিদ্র্যতার ভিতর থেকেও মেডিকেল স্কুল শেষ করে ফেলেছে, আরেকজন হোল মিশিগান ইউনিভার্সিটির ব্যান্ড ডিরেক্টর যিনি তার শিক্ষকতা পেশার অনেক চমকপ্রদ গল্প শুনিয়েছে।
এমন এমন অজানা অচনা মানুষদের সাথে পরিচিত হয়ে তাদের জীবনের ব্যাতিক্রমি সব ঘটনা জেনে আর লিপিবদ্ধ করে তার খেরোখাতায় শত শত ঘণ্টার ইন্টার্ভিউ জমা হয়েছে।
টিচার আভা বাতজু বলে – ম্যারীকে আমাদের বাসায় রাখতে পেরে আমরা ভীষণ আনন্দিত। টেবিলে বসে একসাথে খাবার খেতে খেতে, সন্ধ্যায় রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে, একসাথে ইয়োগা করে আমরা এত অন্তরঙ্গ হয়ে গেছি আমি এবং আমার স্বামী ম্যারী চলে যাওয়ার পর ওকে খুব মিস করি। ম্যারী যেন আমাদের পরিবারের সবার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়ে গেল। কেমন করে আশার আলো জ্বালাতে হয়, সেই দিক নির্দেশনা দিয়ে গেল।
ম্যারীর দীর্ঘ পথ চলা সময়ে সময়ে অনেক কঠিন এবং আবেগ তাড়িত ছিল। সে নিজের বিপদের কথা না ভেবে মানুষকে বিশ্বাস করে একদম অচেনা মানুষের সাথে মিশেছে। তাদের ঘরে থেকেছে। তাদের কাছে নিজের জীবনের গল্প শেয়ার করেছে। মানুষের গল্প শুনেছে। অজানা মানুষের সাথে নিজের মানসিক যোগাযোগ ঘটিয়েছে। এসব কিছু করে ফেলা একদম সহজ ছিল না। মানসিক এবং শারীরিক চাপ সহ্য করতে হয়েছে। তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলে – ম্যারী তার মিশন শেষ করতে পারবে। বিস্ময় সৃষ্টি করবে। তাকে দেখে, তার গল্প পড়ে মানুষ আবার মানুষকে বিশ্বাস করতে শিখবে। সন্মান করতে শিখবে। সবাই সবার হৃদয় উন্মোচন করবে।
ম্যাসাচুসেটস এর ম্যান্সফিল্ডে থাকে কিম এবং ক্রিস রোচ দম্পতি তাদের যমজ এগারো বছরের ছেলেদেরকে নিয়ে। ২০১৬র খৃস্টমাসে ম্যারী তাদের সাথে কাটিয়েছে। অনলাইনে ম্যারী এবং তার মায়ের সখ্যতা, ক্যান্সারে মায়ের মৃত্যু, তারপর মায়ের সন্মানে সত্যের সন্ধানে ম্যারীর দীর্ঘ পথ চলার গল্প পড়ে এই দম্পতির হৃদয় ভিজে যায়। তারা ম্যারীকে তাদের সাথে কিছু সময় কাটাতে আহবান করে। কারণ কিমের বাবা ক্যনাসারে মারা যায়। তাই সে বুঝতে পারে ম্যারীর মা হারানোর পেইন।
কিমের ভাষায় – মনে পড়ে বড়দিনের মাত্র দুইদিন আগে নীল গাড়ীটা চালিয়ে ম্যারী যখন আমাদের ড্রাইভওয়েতে এসে গাড়ী থামায়, তখন সে অনেক ক্লান্ত ছিল, তার উপর ঠাণ্ডা লাগায় খুব কাশছিল। তাই শুধু ‘হ্যালো’ বলে তার জন্য গোছানো গেস্ট রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে একটানা বাইশ ঘণ্টা ঘুমিয়েছে।
আমাদের উপর তার এমন অন্ধ বিশ্বাস এবং নির্ভরশীলতা যার কারণে সে নিশ্চিন্তে এভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পেরেছে দেখে আমি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছি ওর উপর। রেস্ট নিয়ে একটু ধাতস্থ হলে ম্যারী আপনজনের মত আমার ছেলেদের সাথে বাস্কেটবল খেলে। বড়দিনের উপহারের বাক্সগুলি খোলে আমার ছেলেদের সাথে হইচই করে – দেখে সত্যি আমার চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে। আমি ভাবি, মানুষ কি করে এত কম সময়ে এমন আপন হয়ে যেতে পারে !
যেদিন ম্যারী বিদায় নেয়, সেদিন আমরা সবাই সত্যি অনেক কেঁদেছি। তারপরেও অনেকদিন কেঁদেছি ম্যারীর কথা ভেবে। ভাবি – সেতো সন্যাসিনী নয়, অথচ তবুও ঈশ্বরের এঞ্জেলের মত নির্ভয়ে দেশের আনাচে কানাচে অপরিচিতদের উপর নির্ভর করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাইকে আপন করে ফেলছে। এতো ঈশ্বরের কাণ্ড। ঈশ্বরই তার হেফাজত করছে। আর তাই তার মনোবাসনা পূর্ণ হবেই।
ম্যারী বলে – আমি কখনো কারো সাথে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করি না। এটা বিভেদ তৈরী করে। মতভেদ হয়। আলোচনায় রাজনীতি না টানলে আর কোন সমস্যা হয় না দেখেছি। সবাই আন্তরিক হয়ে যায় অল্পক্ষণে।
সে বলে – আমি ঘুরেছি ট্রাম্পের বাড়িতে, হিলারির বাড়িতে, বার্নি স্যান্ডার্সের বাড়িতে, নিরীশ্বরের বাড়িতে, বিশ্বাসীর বাড়িতে, ইহুদীর বাড়িতে, মুসলিমের বাড়িতে। সবখানে সব যায়গায় একটা বিষয় খেয়াল করেছি – মানুষ সবাই ভাল আর সবাই ভাল কিছু করতে চায়।
সারাদিনের জার্নির পর ক্লান্ত হয়ে গাড়িতে শুয়ে যখন কান্না পায়, আমি মায়ের কথা ভাবি। ভাবি এই এই জার্নি তো মায়ের জন্য – তখন ক্লান্তি দুর হয়ে যায়।
মা তো স্বর্গে চলে গেছে। আর আমি দুনিয়ায় বসে মায়ের স্মরণে তার গার্ডিয়ান এঞ্জেলের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি ওপারে বসে দেখে যেন মায়ের আত্মা শান্তি পায়। এমন ভাবলে আমার আর একটুও ক্লান্ত লাগে না। আমি আবার পূর্ণোদ্দমে কাজ শুরু করি।
Original article was at : The Washingtong Post
অনুবাদ ; মুরাদ হাই, নিউইয়র্ক
৯ই জুলাই, ২০১৯